সোমবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
Homeজাতীয়শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে

শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে

অনলাইন ডেক্স. ঘোষিত নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সহিংসতা ও অবৈধ অস্ত্রের দাপট। চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে সন্ত্রাসী হামলায় এক ব্যক্তি নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করছে, নির্বাচনি মাঠ কতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। অক্টোবর মাসেই দেশজুড়ে নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহলেও শঙ্কা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা আইআরআই জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এখনো অনিশ্চিত ও বিভাজনমূলক। তাদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, সহিংসতা, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি অনাস্থা এবং রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ। তারা ছয় দফা সুপারিশে নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা এবং নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এই বাস্তবতায় সেনাবাহিনী আশার আলো হয়ে উঠেছে। সেনা সদর দপ্তরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের সময় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সেনাসদস্য মাঠে থাকবে—যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। সেনাবাহিনী জেলা ও আসনভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা দেবে। সেনা নেতৃত্ব জানিয়েছে, বাহিনী এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ।

২০২৪ সালের গণআন্দোলনে সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা যায়—দেশের সংকটময় সময়ে জনগণের শেষ ভরসা সশস্ত্র বাহিনীই। তাই আসন্ন নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করতে নাগরিকদেরও উচিত সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখা, বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ থাকা। কারণ একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই পারে বাংলাদেশকে স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনতে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এ জাতীয় আরো সংবাদঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদঃ

সাম্প্রতিক মন্তব্য