রনি মজুমদার : ঢাকার শাহবাগ, প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় একাধিক বিক্ষোভ একসঙ্গে চলায় রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর থেকে যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ। এছাড়া ওই তিনটি এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশ।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও গেজেট প্রকাশের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। একই সময়ে শাহবাগে শিক্ষক নিবন্ধন ও সার্টিফিকেশন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১৮ তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
এছাড়া ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা ভবনের দিকে ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ও সায়েন্সল্যাব এলাকায় অবস্থান নেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের শাহবাগ জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তারিকুল আলম সুমন বলেন, প্রেস ক্লাব এলাকায় শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে শাহবাগ, পল্টন ও তোপখানা রোড এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। বিকল্প রুট ব্যবহারের অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
এক শিক্ষক প্রতিনিধি বলেন, আমরা বছরের পর বছর ধরে একই দাবিতে আন্দোলন করছি। এবার না পেলে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করব।
এদিকে শাহবাগে নিয়োগবঞ্চিত এনটিআরসিএ প্রার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে নিয়ে যায়।
তারা দাবি করেন, ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আমরা নিয়োগ পাচ্ছি না। অবিলম্বে বিশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাহবাগ এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা রবিবার দুপুরে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের প্রস্তাবের প্রতিবাদে সায়েন্সল্যাব এলাকায় অবস্থান নেয়।
এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু সেটা আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে করা যাবে না।
পরে তারা এক ঘণ্টা পর রাস্তা ছেড়ে দেয়।
শাহবাগ, পল্টন, তোপখানা রোড, হাইকোর্ট ও শান্তিনগর এলাকায় যান চলাচল ধীরগতির বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক কর্মকর্তারা।
তারা জানান, বিকল্প রুট হিসেবে বিজয় সরণি-ফার্মগেট-কলাবাগান হয়ে মতিঝিল বা যাত্রাবাড়ীর দিকের রাস্তাগুলো ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্য ও ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, তবে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামার আগে রুট জেনে নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
