নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা-১০ আসনটি ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত। এই আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি, তবে জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জামায়াতের প্রার্থী হচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকার।
এর আগে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলাকে কেন্দ্র করে গঠিত কুমিল্লা-৩ আসনের ভোটার ছিলেন আসিফ মাহমুদ। সেই আসন থেকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ছিল বেশ জোরালো। সম্প্রতি আবার শোনা যাচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে তিনি অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এখন তিনি এই আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন এতে গুঞ্জনটি আরও দৃঢ় হয়েছে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির নেতা ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি অভ্যুত্থানের শেষ কর্মসূচি ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্টে এগিয়ে আনার সিদ্ধান্তও তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। আন্দোলনের সময় তার ভূমিকা তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পান কুমিল্লার সন্তান আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা আসিফ মাহমুদের ছাত্রজীবনের শুরু ছাত্র অধিকার পরিষদে রাজনীতির মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে সংগঠনটির একটি অংশ থেকে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির উদ্যোক্তা সদস্য হিসেবে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী অনেক তরুণ নেতা ছিলেন এই ছাত্রশক্তিরই অংশ।
সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি আসিফ মাহমুদ বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করছেন।
