সুলতান মাহমুদ,জয়পুরহাট. আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর–কালাই–ক্ষেতলাল) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের মধ্যে সর্বাধিক আস্থা অর্জন করেছেন আলহাজ্ব লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ।
ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রেখে রাজনৈতিক জীবনের যাত্রা শুরু করেন বিদ্যুৎ। আক্কেলপুর এম.আর ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদলের এজিএস হিসেবে রাজনীতিতে পা রাখার পর তিনি সোনামুখী ইউনিয়ন বিএনপি, আক্কেলপুর থানা বিএনপি, জেলা বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) ভাইস চেয়ারম্যান।
দলের সংকটময় সময়ে রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়া, সংগঠনের ঐক্য রক্ষা এবং তৃণমূলের পাশে থাকা—এই গুণগুলোই তাঁকে একজন বিশ্বস্ত ও ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত করেছে। ২০১৩ সালে তিনি অজ্ঞাত স্থানে আটক ও ১২ দিন নির্যাতনের শিকার হন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ৩৮টি মামলায় জর্জরিত এবং একাধিকবার রিমান্ড ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
২০২২ সালের রাজপথ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে হার্ট অ্যাটাক হলে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণা হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা নেন। সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আবারও সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছেন। এছাড়া গ্রেফতার নেতাকর্মীদের জন্য আইনি সহায়তা, জামিন এবং পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার কাজেও তিনি নেতৃত্ব প্রদান করে আসছেন।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ আসনের বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সরকারি দলের হামলায় তাঁর বাড়ি ভাঙচুর হয় এবং পরিবারের সদস্যরা আহত হন।
রাজনৈতিক লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন—“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শই আমার রাজনীতির প্রেরণা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই আমার জীবনের লক্ষ্য।”
স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে পরিশ্রমী, পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা জয়পুরহাট-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
