রনি মজুমদার. ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ক্যারিয়ারের শুরুতে শিশু শিল্পী হিসেবে ব্যাপক প্রশংসা পেলেও সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। এখন আর সমালোচনায় কান দেন না তিনি; বরং মনোযোগ পুরোপুরি নিজের কাজ ও ভালো কিছু করার দিকে।
গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘জংলি’ দিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন এই তরুণ নায়িকা। সিয়াম আহমেদের বিপরীতে অভিনীত ছবিটিতে তাঁর চরিত্র ‘নূপুর’ দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
দীঘি বলেন,“হলে গিয়ে দেখেছি, দর্শক কেঁদেছেন। কেউ কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। সিনেমা নিয়ে এই ভালোবাসাই আসল প্রাপ্তি।”
‘জংলি’ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস নায়িকা হওয়ার পর একসময় ভাগ্য সহায় হচ্ছিল না দীঘির। নতুন সিনেমায় যুক্ত হচ্ছিলেন ঠিকই, কিন্তু বড় কোনো প্রজেক্টে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ফলে মাঝে মধ্যে বিয়ের ফটোশুট, মডেল ফটোশুট ইত্যাদি নিয়েই বেশি আলোচনায় আসতেন তিনি। তবে ‘জংলি’ মুক্তির পর তাঁর প্রতি দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। সমালোচনায় নয়, আত্মবিশ্বাসে পরিণত দীঘি
দীঘি বলেন, “প্রতিটি সিনেমায় চরিত্রই আমার কাছে প্রধান। কাজ করলে সমালোচনা হবেই। আগে এসব কষ্ট দিত, এখন বুঝি—অনেকে অন্যকে ছোট করে নিজেকে বড় দেখাতে চায়। আমি জানি, আমার ভুল ধরার অধিকার কেবল আমার বাবারই আছে। উনিই আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক।”
বডি শেমিং থেকে ঘুরে দাঁড়ানো একসময় বডি শেমিংয়ের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন দীঘি। তিনি জানান,
“অসুস্থতার কারণে ওজন বেড়ে গেলে মানুষ নানা কথা বলত। একসময় খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। স্টেরয়েডের ওষুধে শরীর ফুলে যেত। কিন্তু পরিশ্রম আর ধৈর্যের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।”
নতুন সিনেমা ‘বিদায়’ বর্তমানে দীঘি ব্যস্ত আছেন নতুন সিনেমা ‘বিদায়’-এর শুটিং নিয়ে। এই ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেতা বাপ্পারাজ। গল্পটি মানুষের ভেতরের টানাপোড়েন ও মানবিক সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি।
সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে, যা চলবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। পরে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে কিছু অংশের শুটিং হবে।
প্রযোজক শাহরীন জানান, “অনেকেই জিজ্ঞাসা করে, আমাদের সিনেমার নায়ক কে। আমি বলব—আমাদের সিনেমার নায়ক হলো গল্প। এটি একটি মানবিক ও সচেতনতামূলক গল্প, পরিবার নিয়ে দেখার মতো।”
দীঘি এ বিষয়ে বলেন, “ঘটা করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সব জানাবে। আমার মুখ খোলা বারণ। এখন কেবল ভালো কাজের সঙ্গেই থাকতে চাই, ভালো কাজ করতে চাই। সমালোচনা নয়, কাজেই মনোযোগী থাকতে চাই।”
