সোমবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
Homeবাণিজ্যচট্টগ্রাম বন্দর লাভে থাকলেও বাড়ছে মাশুল

চট্টগ্রাম বন্দর লাভে থাকলেও বাড়ছে মাশুল

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি. গত অর্থবছরে ৫ হাজার ২২৭ কোটি টাকা আয় করে ২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। আগের বছর মুনাফা ছিল আরও বেশি—৩ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। তবুও মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে বাড়ছে বন্দরের নতুন মাশুল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, লাভজনক অবস্থায় থেকেও মাশুল বাড়ানো আমদানি–রপ্তানি খাতকে ঝুঁকিতে ফেলবে। তাদের দাবি, অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়িক পরিবেশ নষ্ট করছে।

তবে বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, “শেষবার মাশুল বাড়ানো হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। ৩৯ বছর পর এবার হার সমন্বয় করা হয়েছে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে তেমন প্রভাব পড়বে না।”

কিন্তু বাস্তবে শিপিং কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে নতুন চার্জ ঘোষণা করেছে। মায়ের্সক ২০ ফুট কনটেইনারে হ্যান্ডলিং চার্জ ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৬০ ডলার করেছে, আর ৪০ ফুট কনটেইনারে ২০৫ থেকে ৩১০ ডলার। অন্য অপারেটররাও একই পথে হাঁটছে।

বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ফাইয়াজ খন্দকার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এতে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।”

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরীর মতে, “বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতে মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এটি আমদানি–রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক বলেন, “ব্যবসায়ীদের মতামত না নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই চাপ ভোক্তার ঘাড়ে পড়বে।”

বন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, নতুন শেড, ইয়ার্ড ও টার্মিনাল নির্মাণসহ সেবার মান বাড়াতে বাড়তি রাজস্ব প্রয়োজন, তাই মাশুল সমন্বয় করা হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদঃ

সাম্প্রতিক মন্তব্য