অনলাইন ডেস্ক: আলোচনায় বিমান ভাড়ার লাগাম কিছুটা টানা সম্ভব হয়েছে। ফলে এবার পবিত্র হজের (২০২৬ সালে) খরচ গতবারের চেয়ে কমছে। সরকারিভাবে পৃথক তিনটি হজ প্যাকেজ থাকবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজও সরকার ঘোষণা করবে। তবে এবার সরকারের বেঁধে দেওয়া প্যাকেজের নিচে কোনো এজেন্সি দর ঠিক করতে পারবে না।
গতবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ নম্বর প্যাকেজের অধীনে পবিত্র হজব্রত পালনে খরচ হয়েছিল চার লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন খরচ হয়েছে চার লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। সভায় অনুমোদন পেলে আজই হজ প্যাকেজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
সূত্রের দাবি, এবার একটি বাড়িয়ে তিনটি সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। প্রথম প্যাকেজে হোটেল থাকবে হারাম শরিফ থেকে ৫০০-৭০০ মিটার দূরত্বে। গতবারের দ্বিতীয় প্যাকেজের সুবিধা বাড়িয়ে এটি করা হচ্ছে এবং ব্যয় হবে সবচেয়ে বেশি।
দ্বিতীয় প্যাকেজে হারাম শরিফ থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে আবাসন সুবিধা। এটি গতবারের প্যাকেজ-১ এর হালনাগাদ সংস্করণ। আর তৃতীয় প্যাকেজ হবে আজিজিয়া এলাকায় আবাসন সুবিধার। এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী প্যাকেজ।
বিমান ভাড়া নিয়ে টানাপোড়েন
এবারের হজ পালনে ধর্ম মন্ত্রণালয় বিমানের ভাড়া এক হাজার ১০০ ডলারের (প্রায় ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, শুল্ক ছাড়া) প্রস্তাব দেয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এটি এক হাজার ২০০ ডলার করতে চাইলে সংকট তৈরি হয়। তবে উভয় মন্ত্রণালয় আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া কমাতে একমত হয়েছে।
গতবার বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। এবার তা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কমতে পারে বলে জানা গেছে।
ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন সমকালকে বলেন, বিমান ভাড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সিভিল এভিয়েশনের ফি কমানোর বিষয় বিবেচনাধীন। রোববার চূড়ান্ত প্যাকেজ ঘোষণায় বিস্তারিত থাকবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, হজযাত্রীদের স্বার্থে আমরা ভাড়া যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করেছি।
নিবন্ধনে ধীরগতি
পবিত্র হজ আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে পুরো টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধনের নির্দেশনা দিয়েছে। গত ২৭ জুলাই থেকে প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারিতে ৯৫৪ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক হাজার ১৩৫ জন নিবন্ধন করেছেন।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, প্যাকেজ ঘোষণা দেরির কারণে গতি পাচ্ছে না নিবন্ধন। আশা করছি, প্যাকেজ ঘোষণার পর নিবন্ধনে ভালো সাড়া মিলবে।
এবার সরকারি-বেসরকারি মিলে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করার সুযোগ পাবেন। উচ্চ খরচের কারণে গত দুইবার বাংলাদেশ তার কোটা পূরণ করতে পারেনি।
