আর্ন্তজাতিক: টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন মতে, হাসনাত আবদুল্লাহর মন্তব্যের একদিন পর মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) পাল্টা মন্তব্য করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকে হুমকি এবং বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতাদের ভারতবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানাতে’ হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে সেভেন সিস্টার্স সম্পর্কিত মন্তব্যটি করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন,ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে সম্মান না করে তাহলে বাংলাদেশ ভারতবিরোধী শক্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিতে পারে।’
ভারত এরই মধ্যে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,আমরা আশা করি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন,বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে একীভূত করা বা আলাদা করার ধারণা সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক।তিনি বলেন,গত এক বছরে বারবার এমন বক্তব্য আসছে যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করা উচিত।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেন, ‘ভারত একটি বড় দেশ, একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন কথা ভাবতে পারে?’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের শত্রুতামূলক আচরণ চলতে থাকলে ভারত চুপ থাকবে না। প্রয়োজনে উচিত শিক্ষা দেবে।’
