আন্তর্জাতিক: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশে টানা ঘূর্ণিঝড়, মৌসুমি ঝড় ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে প্রাণহানি দেড় হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৯১৬ জনের মরদেহ, আর নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ২৭৪ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানুষের দুঃসহ পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়েছে। আচেহের তামিয়াং জেলায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
অনেক পরিবার সরকারি সহায়তা পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। একটি ইসলামি আবাসিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে হোস্টেলে আটকা থেকে তারা বন্যার পানি পর্যন্ত পান করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরকার পরিস্থিতির উন্নতির কথা বললেও স্থানীয় প্রশাসন বিপর্যয়কে আরও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করে জরুরি অবস্থা ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে।
পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে, এই বিপর্যয়ের মূল কারণ বনজঙ্গল উজাড় এবং অবৈধ খনি খনন। বিশেষ করে চীনের বিনিয়োগে পরিচালিত নর্থ সুমাত্রা হাইড্রো এনার্জি ও এগিনকোর্ট রিসোর্সেসসহ কয়েকটি কোম্পানিকে দায়ী করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলেও কোম্পানিগুলো কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নভেম্বরের শেষ থেকে শুরু হওয়া বন্যা ও ভূমিধসের ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে, আর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সুমাত্রা ও আচেহ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা।
