ইউসুফ আলী. ১৩ নভেম্বরের আগে, আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে সরকার রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নগরীতে অস্থিতিশীলতা রোধে সব নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। শহরের প্রধান প্রবেশপথগুলোতে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে এবং যানবাহনের তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সীমান্ত নজরদারি ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের টহলও বাড়ানো হয়েছে। সন্দেহভাজন বা অশান্তি সৃষ্টির যে কাউকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। জনসাধারণের চলাচল ও স্কুল-কলেজের কার্যক্রমও প্রভাবিত হয়েছে, বেশ কয়েকটি ইংরেজি-মাধ্যমিক বিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস চালাচ্ছে। বিমানবন্দর আশেপাশেও তল্লাশি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
গত কয়েক দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় নগরবাসী আতঙ্কিত হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে ১৯টি বোমা বিস্ফোরণ এবং ১৬টি যানবাহনে আগুন লেগেছে। ধানমন্ডি ও গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আইসিটি অফিস এবং সরকারি ডাকঘরের সামনে হামলা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় একটি বাসে আগুন ধরিয়ে বাস চালক ও যাত্রী আহত হয়েছেন অপরদিকে গাজীপুরে তিনটি বাসে ও উত্তরাতে একটি প্রাইভেট কারে আগুন আজকে বৃহস্্রিতিবার দুপুর একটার সময় রমনা থানার টহল গাড়ীতে আগুন লাগে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গত ছয় সপ্তাহে ১৪টি আকস্মিক মিছিল আটক করেছে এবং ৫৫২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, অনেক ঘটনার সঙ্গে শহরে আনা ভাড়াটে গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। পুলিশ ও র্যাব সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতা উস্কে দেওয়ার প্রচেষ্টা নজরদারি করছে।
নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, ডিএমপি কমিশনার, র্যাব মহাপরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হলো রাজধানীতে সহিংসতা রোধ ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
