সোমবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
Homeরাজধানীজোবায়েদ হোসাইনের হত্যার ঘটনা পুরোটা সামনে থেকে দেখে বর্ষা

জোবায়েদ হোসাইনের হত্যার ঘটনা পুরোটা সামনে থেকে দেখে বর্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের হত্যার ঘটনা পুরোটা সামনে থেকে দেখে বর্ষা। মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে তৃতীয় তলা থেকে এরপর পঞ্চম তলায় বাসায় চলে যায় সে।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী এসব কথা জানান।

বর্ষা মহানগর মহিলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে। তিনি বলেন, ‘জোবায়েদ তখনো মারা যায়নি। বাঁচার জন্য দোতলা থেকে উপরে ওঠেন। তিন তলায় দাঁড়িয়ে ছিল বর্ষা। তখন বর্ষাকে দেখে জোবায়েদ বলে, আমাকে বাঁচাও। কিন্তু বর্ষা বলে, তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না। বর্ষা তার মৃত্যু কনফার্ম করে যায়। তখন জোবায়েদ বাঁচার জন্য দরজায় নক করেও কারও সাড়া পায়নি।’

আজ মঙ্গলবার সকালে (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা বর্ষা ও মাহীরের পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে আবার বর্ষা জোবায়েদের উপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় বর্ষা মাহীরকে না করে দেয় এবং সে জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানায় যে, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহীর।

ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে জোবায়েদকে হত্যার এই পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেনি বর্ষা। পরে মাহীর ও বর্ষাকে মুখোমুখি করলে সব সত্যতা জানা যায়। জোবায়েদকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা করে তারা। এখন পর্যন্ত বর্ষাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।

জোবায়েদ হোসাইন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।

এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন।

গত ১৯ অক্টোবর বিকেল ৪টার ৪৫ মিনিটের দিকে বর্ষার বাসার তিন তলায় উঠার সময় সিঁড়িতে তিনি খুন হন।

পরে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তারা তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন। ওইদিন রাত ১১টার দিকে পুলিশ ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নেয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর আরমানিটোলার নূরবক্স লেনের নিজ বাসা থেকে পুলিশ প্রটোকলে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জোবায়েদ হোসাইনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদঃ

সাম্প্রতিক মন্তব্য