রক্তে ভেসে যায় চারপাশ, লাল হয়ে ওঠে রাস্তাটিও। গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে মৃতদেহটি পা দিয়ে ঠেলে দেখে মরে গেছে কিনা। তারপর চারজন মিলে হাত-পা ধরে টেনে নিয়ে যায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ। কিন্তু এরপর থেকে হৃদয়ের লাশের কোনো খোঁজ মেলেনি। পরিবার এখনো জানে না, তার দাফন হয়েছে নাকি নিখোঁজ করে ফেলা হয়েছে।
ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত কনস্টেবল আকরাম। গত ৬ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের পারাইল গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হয়েছে মামলা—নম্বর ৩/২৫।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সেই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের বড় পর্দায় প্রদর্শন করেন হৃদয় হত্যার ভিডিওটি। ভিডিও চলাকালীন আদালতকক্ষে নেমে আসে গভীর নিস্তব্ধতা; উপস্থিত সবার চোখ ভিজে ওঠে।
প্রসিকিউটর জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আকরাম স্বীকার করেছে—সে-ই গুলি চালিয়েছিল হৃদয়ের পিঠে। এরপর লাশটি তুরাগ নদীর কড্ডা ব্রিজের নিচে ফেলে দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে রয়েছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আরও একজন। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো এই মামলায় প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত ছিল।