রবিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
Homeঅন্যান্যবিচিত্র সংবাদআগামী ৫০ বছরেই ধ্বংস হবে পৃথিবী

আগামী ৫০ বছরেই ধ্বংস হবে পৃথিবী

ডেক্স রির্পোট: বিজ্ঞানীরা বলছেন,মহাকাশে হাজারো গ্রহাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর কাছাকাছি, কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকটি সত্যিই উদ্বেগজনক। এই বিশেষ গ্রহাণুগুলোকে বলা হয় Potentially Hazardous Asteroids (PHA) — অর্থাৎ এমন গ্রহাণু, যেগুলোর কক্ষপথ পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করে এবং আকারেও যথেষ্ট বড়, যা সংঘর্ষ ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

বিশ্বের শীর্ষ মহাকাশ সংস্থাগুলো যেমন—নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)—নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে এমন ১০টি সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণু। নিচে রয়েছে তাদের কয়েকটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়—

২০২৩ DW
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবিষ্কৃত হয় এই গ্রহাণুটি। প্রাথমিক হিসেবে ২০৪৬ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। প্রায় ৫০ মিটার ব্যাসের এই গ্রহাণুটি এখন নাসার Sentry সিস্টেমে নিয়মিত নজরদারিতে আছে।

বেন্নু (Bennu)
প্রায় ৪৯০ মিটার প্রশস্ত। ২১৭৫ থেকে ২১৯৯ সালের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা ১–এর মধ্যে ২,৭০০। ২১৩৫ সালে এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে, যা এর কক্ষপথ পরিবর্তন করতে পারে।

(29075) 1950 DA
ব্যাস ১.৩ কিলোমিটার—একটি বিশাল গ্রহাণু। ধারণা করা হচ্ছে, ২৮৮০ সালে পৃথিবীর নিকটে আসবে। যদি আঘাত করে, তা হলে বৈশ্বিক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে।

2023 BU
৭০ মিটার ব্যাসের এই গ্রহাণুর ২০২৩ সালের সংঘর্ষ আশঙ্কা বাতিল হয়েছে, তবে ২০৬০-এর দশকে আবার ঘনিষ্ঠভাবে আসবে।

(410777) 2009 FD
৪০০ মিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণুটি ২১৮৫ থেকে ২১৯৬ সালের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে বলে ধারণা।

আপোফিস (Apophis)
২০০৪ সালে আবিষ্কৃত এই গ্রহাণুটি প্রথমে ২০২৯ সালের জন্য আতঙ্ক তৈরি করেছিল। আকারে প্রায় ৩৪০ মিটার, ২০৬৮ সালে আবার পৃথিবীর খুব কাছে আসবে।

2022 AE1
মাত্র ৭ মিটার ব্যাসের হলেও আঘাতের সম্ভাবনা প্রায় ৫%—অত্যন্ত উচ্চ। এটি চেলিয়াবিন্স্ক বিস্ফোরণের মতো বায়ুমণ্ডলীয় ধাক্কা দিতে পারে।

2021 QM1
প্রায় ৩৭ মিটার ব্যাসের। ২০৩০ থেকে ২০৬০ সালের মধ্যে একাধিকবার পৃথিবীর কাছে আসবে।

(99942) 2001 WN5
১৪০ মিটার প্রশস্ত। ২০৪০ সালে চাঁদের দূরত্বের তিনগুণ দূর দিয়ে যাবে। আপাতত ঝুঁকি নেই।

(136617) 1994 CC
৭০০ মিটার ব্যাসের এই বৃহদাকার গ্রহাণুটি ২০৫৬ সালে পৃথিবীর নিকটে আসবে। আঘাত সম্ভাবনা কম হলেও বিশাল আকারের কারণে এটি নাসার তালিকায় আছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন—সংঘর্ষের আশঙ্কা এখন খুবই ক্ষীণ, কিন্তু মহাকর্ষীয় প্রভাব বা সূক্ষ্ম কক্ষপথ পরিবর্তন ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। তাই এই গ্রহাণুগুলোর প্রতিটি গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে, যেন মানবজাতি বিপদের আগেই প্রস্তুতি নিতে পারে।

এ জাতীয় আরো সংবাদঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদঃ

সাম্প্রতিক মন্তব্য