রনি মজুমদার: মিরপুর ১০ নম্বরের ফুটপাত এখন পুরোপুরি অবৈধ দোকানি দের দখলে চলে গেছে। সকাল-বিকেল পথচারীরা হাঁটতে পারছেন না বললেই চলে। একপাশে দোকানের পসরা, অন্যপাশে ক্রেতাদের ভিড়—ফুটপাত যেন ছোটখাটো বাজারে পরিণত হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।
প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। স্থানীয়রা বলছেন, সকালবেলা অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হয়, কিন্তু সন্ধ্যার আগেই দোকানগুলো আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে। যেন এগুলো কোনো অভিযান নয়, বরং নিয়মিত নাটক।
অনেক পথচারী অভিযোগ করেছেন, ফুটপাত দখলের সঙ্গে চাঁদাবাজি চলছে। বলা হচ্ছে, নির্দিষ্ট টাকা দিলে দোকান বসানো যায়, না দিলে উচ্ছেদের হুমকি। এই অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও কিছু অসাধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
মিরপুরের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতিদিন অফিস যাতায়াতের সময় ফুটপাত ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে গেছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে, এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।”
অন্যদিকে স্থানীয় দোকানিরা দাবি করছেন, তারা ছোট ব্যবসায়ী এবং প্রশাসন বিকল্প ব্যবস্থা না দিলে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যাবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়মিত অভিযান চলছে এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নাগরিকরা চাইছেন শুধু অভিযান নয়, স্থায়ী সমাধান। শেষ পর্যন্ত নগরবাসীর প্রত্যাশা স্পষ্ট: মিরপুর ১০ নম্বরের ফুটপাত যেন আবার পথচারীদের জন্য মুক্ত হয়।
