আর নিউজ. এশিয়া কাপ নয়, হয়ে গেল যেন ‘বিতর্ক কাপ’! শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলার চেয়ে আলোচনায় ছিল বিতর্কিত সব কাণ্ড। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি নেয়নি ভারত। এ আরেক নজিরবিহীন ঘটনা। পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগ জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি পাচ্ছে না, এমন ঘটনা কখনো দেখেননি।
সালমানের অভিযোগ, ভারত শুধু পাকিস্তানকেই নয়, গোটা ক্রিকেটকেই অসম্মান করেছে এশিয়া কাপে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে হাত মেলায়নি, মহসিন নাকভির থেকে ট্রফি নেয়নি। ওরা আমাদের সঙ্গে যা করেছে, তাতে শুধু আমাদের অসম্মান করেনি, গোটা ক্রিকেটকে অসম্মান করেছে।’
প্রশ্ন রেখেই সালমান বললেন, ‘এগুলো দেখে বাকি দলগুলো যদি এ সব করতে শুরু করে? কোথায় শেষ হবে এ সব? ক্রিকেটারদের তো রোল মডেল হওয়া উচিত। মাঠে এগুলো হতে দেখলে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা কী শিখবে? এ বার যা হয়েছে, খুব খারাপ।’
ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নেয়নি ভারতীয় দল। ট্রফি দেওয়ার কথা ছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির। ট্রফি না নিয়ে পাকিস্তানকে কার্যত বয়কট করল ভারত। ট্রাফি ছাড়াই মাঠে উল্লাস করেন সূর্যকুমারের দল ও সাপোর্ট স্টাফরা।
ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার জানিয়েছেন, দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরাই তাঁর আসল ট্রফি। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন দল ট্রফি পাচ্ছে না, ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে জীবনে এমন ঘটনা আমি দেখিনি। তবে আমার মতে দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরাই আসল ট্রফি। সকলে বলছেন, ভারত এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। এটাই আসল কথা।’
‘যেহেতু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি রয়েছে, তাই আমরা এমন কারও কাছ থেকে পুরস্কার নেব না, যিনি পাকিস্তানের মন্ত্রী। নীতিগত ভাবে এই সিদ্ধান্ত আমরা আগেই নিয়েছিলাম।’
ফাইনাল শেষে শুরু হয় নাটকীয়তা। খেলা শেষ হলেও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছিল না। মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা, কিন্তু পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দেখা যাচ্ছিল না। শোনা যায়, ভারত জানিয়ে দেয় তারা নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নেবে না। মাঠেই মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় নাকভিকে, মুখে তখনো স্পষ্ট ক্ষোভ। খেলা শেষ হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। পরে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।