নওগাঁ প্রতিনিধি: পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, যা পাল আমলের একটি ঐতিহাসিক স্থাপন, বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি। প্রতি বছর বাংলাদেশ ও বিদেশ থেকে ৫-৭ লাখ দর্শনার্থী এখানে আসেন, কিন্তু পর্যাপ্ত সুবিধা ও অবকাঠামোর অভাবে তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। জলাবদ্ধতা, আবাসনের অভাব, পরিবেশ দূষণ এবং কুকুরের উপদ্রব পর্যটকদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে।
এই বিহারটি ৮ম বা ৯ম শতকে পাল রাজা শ্রী ধর্মপালদেব কর্তৃক তৈরি করা হয়েছিল এবং ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে এর মর্যাদা স্বীকৃত করেছিল। বিহারটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধ ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। সম্প্রতি দেখা গেছে, বর্ষার পরেও বিহারের চারপাশে পানি জমে আছে, যা স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে। এছাড়া, পর্যটকরা আশেপাশের এলাকার খাবারের দোকানে অতিরিক্ত দাম দিয়েও খাবার পেতে সমস্যা অনুভব করছেন।
ছাত্র এবং পর্যটকরা দাবি করছেন, সরকারকে দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। সঠিক অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে পর্যটকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে হবে। স্থানীয়রা পর্যটকদের জন্য যথার্থ পরিবেশ তৈরি করছে না, যা দেশের জন্য অসম্মানজনক।
বিহারের কাস্টডিয়ান ফজলুল করিম জানান, পাবলিশ করা হোটেল এবং মোটেলের সংখ্যা না থাকায় দর্শকদের জন্য রাত কাটানো কঠিন। তবে, তারা বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে, বর্ষায় জলাবদ্ধতা সমস্যার জন্য পাম্পিং ব্যবস্থা ব্যবহার করা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে সংলাপ চলছে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান হলেও স্থানীয় পর্যটক বান্ধব পরিবেশ না থাকায় ভবিষ্যতে পর্যটক হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ঐতিহাসিক স্থানটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ কার্যকরী ব্যবস্থার মাধ্যমে করা যেতে পারে।

