Site icon Daily R News

রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অবকাঠামো তৈরির নীতিগত অনুমোদন

অনলাইন ডেক্স. বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করা হবে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘হোস্ট অ্যান্ড এফডিএমএন এনহ্যান্সমেন্ট অব লাইভস থ্রু ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (হেল্প)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় হেল্প/ইউএন-১ প্যাকেজের কাজ ইউএন এজেন্সি আইওএমের মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

জানা গেছে, প্যাকেজের আওতায় কক্সবাজার জেলার দুর্যোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এফডিএমএন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রবেশাধিকার এবং নিরাপত্তা উন্নত করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৬৩ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল মায়ানমার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের যে স্থাপনা ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ব্যাপারে। অনেক কিছু স্থাপনার ব্যাপারে একটা গ্রান্টের টাকা আছে, ওখান থেকে আমরা এটা করব।

আপনার বক্তব্যের শুরুতে মায়ানমারের ওদের রিফিউজি হিসেবে উল্লেখ করেছেনআমরা কি তাদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করেছি? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না না, ফোর্সডলি ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা। ওদের তো যথা শীঘ্রই আমরা পাঠাব। কিন্তু যে সময়টা আছে, একটা মানবেতর জীবন যাপন করা তো কারো কাম্য না। এটার জন্য একটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার দিচ্ছে।

আজকে আমি ডিটেইল বলতে পারব না। আজকে ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে এসেছে। স্পেসিফিক জিনিসটা ওরা নিয়ে আসবে।

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে যথাসময়ে ঝুঁকিবিহীনভাবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর ২০২৫-এর বিধি ১০২(১)(ক) অনুযায়ী দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ হতে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে খাদ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

ৎখাদ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬-এর ৬৮(১) ও পিপিআর, ২০২৫-এর বিধি ৯৯(২) অনুসারে জিটুজি ভিত্তিতে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

Exit mobile version