Site icon Daily R News

খেজুরে লুকানো নবুয়তের আশ্চর্য রহমত

আর নিউজ ডেক্স. মানুষের দেহ যেমন খাদ্যের দ্বারা টিকে থাকে, তেমনি আত্মা টিকে থাকে ঈমান ও সুন্নাহর বরকতে। রাসুলুল্লাহ(সাঃ) মানুষকে শুধু দেহের চিকিৎসাই শেখাননি, বরং এমন আমল ও আহার শিক্ষা দিয়েছেন যা দেহ ও আত্মা উভয়কেই সুরক্ষিত রাখে। এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হলো তাঁর বাণী-
যে ব্যক্তি সকালবেলায় সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন তার ওপর কোনো বিষ বা যাদু প্রভাব ফেলবে না। (বুখারি, হাদিস: ৫৪৪৫)

‘আজওয়া’ খেজুর মদিনার এক বিশেষ প্রজাতি, যা রাসুল (সাঃ) নিজ হাতে রোপণ করেছিলেন। হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনু হজর (রহ.) বলেন, এতে আল্লাহ তাআলা বিশেষ প্রতিষেধক শক্তি দিয়েছেন-যা রাসুল(সাঃ) এর মু‘জিযার অংশ। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, এটি কেবল মদিনার ওই প্রজাতির জন্য প্রযোজ্য হলেও এর মাধ্যমে শিক্ষা হলো-খাদ্যের মধ্যেও আল্লাহ বরকত রাখেন, আর হালাল আহার আত্মাকে সুরক্ষিত করে। ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন, আজওয়া খাওয়ার মধ্যে তাওয়াক্কুল ও আল্লাহর উপর ভরসার প্রকাশ রয়েছে।

আধুনিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, আজওয়া খেজুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনলস ও ফ্ল্যাভোনয়েডস যা বিষক্রিয়া প্রতিরোধ, যকৃত সুরক্ষা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মদিনার মাটির বিশেষ উপাদান এই ফলকে দিয়েছে অনন্য গুণ।

অতএব, আজওয়া খেজুর কেবল একটি খাদ্য নয়, এটি নবুয়তের বরকতময় নিদর্শন, যা ঈমান ও আস্থার সঙ্গে গ্রহণ করলে মানুষকে দেহে ও আত্মায় সুরক্ষা দেয়।

Exit mobile version