Site icon Daily R News

যে দেশে করতে হয় বিড়ালের নামে টিকিট ও পাসপোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক.  মুন্সীগঞ্জের রিক্তা বেগমের পরিবার এবার এক অদ্ভুত ভ্রমণ সঙ্গী নিয়ে রওনা হচ্ছেন ইতালির পথে তাদের প্রিয় বিড়াল ক্যান্ডি । চার বছর ধরে পরিবারের সদস্যের মতো বেড়ে ওঠা এই পোষা বিড়ালটিকে সঙ্গে নিতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।

ক্যান্ডির জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ খাঁচা, নেওয়া হয়েছে পাসপোর্ট, সরকারি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ ও ট্রানজিট বিমানবন্দরের অনুমতি সবকিছুই আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে। অবশেষে বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৩টায় কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে রোমের উদ্দেশে উড়াল দেয় ‘ক্যান্ডি’।

রিক্তা বেগম বলেন,আমরা ক্যান্ডিকে সন্তান হিসেবেই দেখি। বাইরে গেলে ও খাওয়া বন্ধ করে দেয়। ওকে ছাড়া থাকা কল্পনাই করা যায় না। ছেলে শিথিলও আবেগভরে যোগ করেন, “ক্যান্ডি আমাদের ঘরের প্রাণ। ও ছাড়া ঘরটা নিঃশব্দ লাগে।”

বিড়ালটির ভ্রমণ প্রস্তুতিতে ছিল নানা ধাপ। টিকা, স্বাস্থ্যসনদ, মাইক্রোচিপ স্থাপন থেকে শুরু করে বিশেষ ফ্লাইট পারমিট সবই সম্পন্ন হয়েছে স্থানীয় পশুচিকিৎসক ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে।

ডা. শিবেন চন্দ্র লিটন জানান, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য ক্যান্ডির শরীরে মাইক্রোচিপ বসানো হয়েছে। স্ক্যান করলেই তার ইউনিক নম্বর দেখা যায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন,আমাদের রেকর্ডে এটি মুন্সীগঞ্জ থেকে প্রথম কোনো পোষা বিড়ালের বিদেশ যাত্রা। এটি মানুষের প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ।

ছয় কেজি ওজনের ডমেস্টিক মিক্সড জাতের বিড়াল ক্যান্ডি এখন রোমে যাবে রিক্তা বেগম ও তার পরিবারের সঙ্গে, ঠিক যেন পরিবারের আরেক সদস্য হিসেবেই।

Exit mobile version