নিজস্ব প্রতিবেদক. সৌদি আরবে আটকে থাকা হজ এজেন্সিগুলোর প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ফেরত এসেছে দেশে। অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মাসার নুসুক প্ল্যাটফর্মে ৯৯০টি এজেন্সির অব্যয়িত অর্থ জমা ছিল। সবগুলো এজেন্সির টাকাই ফেরত এসেছে — যার পরিমাণ এক কোটি ২৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৮ সৌদি রিয়াল ও ৫৭ হালালা, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এই টাকা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হজ অফিসের সৌদি ফ্রান্সি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।তিনি আরও বলেন,৮৩১টি এজেন্সির ব্যাংক হিসাব আছে, তাদের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমেই ফেরত দেওয়া হবে।বাকি ১৫৬টি এজেন্সির ব্যাংক তথ্য চাওয়া হয়েছে, তথ্য মিললেই তাদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
খালিদ হোসেন জানান, একটি এজেন্সির সর্বোচ্চ ফেরত পাওয়া অর্থ ৪৫ লাখ টাকা, আর সর্বনিম্ন মাত্র ২ টাকা।
তিনি বলেন, “বিগত বছরের জমে থাকা এই অর্থ ফেরত আনা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছা ও সাফল্যের প্রতিফলন। আমরা চাই, বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে।”
বর্তমানে সৌদি সরকারের নুসুক প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধিত বাংলাদেশের হজ এজেন্সি ১ হাজার ৩৩৯টি। গত কয়েক বছরে তারা হজের সৌদি পর্বের খরচ মেটাতে পাঠানো অর্থের একটি অংশ অব্যয়িত ছিল। বাংলাদেশ সরকারের নিরবচ্ছিন্ন চিঠিপত্র, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও অনুরোধের পর সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় অবশেষে এই অর্থ ফেরত দিয়েছে।
এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের টাকা ফেরত দেবে কি না—
সে বিষয়ে খালিদ হোসেন জানান,“এই টাকা এজেন্সিগুলোর নিজস্ব খরচের অংশ। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয়নি, বরং খরচের ঘাটতি না রাখতে কিছু বাড়তি টাকা পাঠিয়ে রেখেছিল।”
বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে এই অর্থ ফেরত আসা— একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

