Site icon Daily R News

সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার

ডেক্স রিপোর্ট: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য থাকলেও, ভোটের সময়সূচি নিয়ে দেখা দিয়েছে মতভেদ। কোনো কোনো দল জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার পক্ষে, আবার কেউ কেউ চান জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক।

এই বিভক্ত অবস্থার মধ্যেই সরকারের ওপর ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সরকারি সূত্র বলছে, আর্থিক ও প্রস্তুতিগত কারণে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরই এ বিষয়ে সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত ও এনসিপি এখনো জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট চায়। তবে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল একই দিনে দুই ভোটের পক্ষে। শনিবার জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশন বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও এ সিদ্ধান্তে অনানুষ্ঠানিক সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। ইসির হিসাব অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। একই দিনে দুই ভোট হলে ব্যয় অনেক কমবে, নতুন অবকাঠামো বা লজিস্টিক আলাদা করে লাগবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন সরকারের জন্য সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের সুযোগ আনলেও প্রশাসন ও কমিশনের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। দুটি ভোটে বিভ্রান্তি এড়াতে ভোটার সচেতনতা বাড়ানো ও প্রচারণা জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, দলগুলো একমত হতে না পারায় সরকারের ওপরই ভোটের সময় নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কমিশনের সদস্য ড. আবদুল আলীম মনে করেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই একদিনে নির্বাচন ও গণভোট হয়, তাই এটি বাংলাদেশের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ নয়।

সরকারি সূত্র বলছে, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরই ভোটের দিনক্ষণ স্পষ্ট করে জানানো হবে।

Exit mobile version