ডেক্স রির্পোট. বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ আজ পালন করছেন দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব “শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা” ও কঠিন চীবর দান। এদিন ভিক্ষু সংঘের বর্ষাবাস শেষ হয় এবং শুরু হয় বৌদ্ধদের সবচেয়ে পবিত্র দান উৎসব।
ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, এই দিনে গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গ থেকে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনা শেষে ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেছিলেন। তখনই তিনি মানবকল্যাণে ভিক্ষু সংঘকে ধর্ম প্রচারের নির্দেশ দেন।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলছে। জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধপূজা, মহাসংসদান, আলোচনাসভা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা, বিশ্বশান্তি কামনায় বুদ্ধোপাসনা ও ফানুস উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিহারে পূণ্যার্থীরা অংশ নিচ্ছেন পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ, মঙ্গলসূত্র পাঠ ও শীলগ্রহণে। আগামী এক মাসব্যাপী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য কঠিন চীবর দান উৎসব চলবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমার মূল শিক্ষা হলো শান্তি, মৈত্রী ও কল্যাণ।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই দিনটির মহিমা বিশ্বে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।

