সম্পাদকীয়. ৩৬ জুলাইয়ের পর আমরা ভেবেছিলাম যে নতুন এক বাংলাদেশের শুভ সূচনা হয়েছে। যে বাংলাদেশে থাকবে না কোন বৈষম্য। যে কারণে ৩৬ এ জুলাই এর নামকরণ হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন।
এই বৈষম্য কোথায় ছিল? এই বৈষম্য ছিল সব জায়গায়। গ্রাম থেকে শহর, পাহাড় থেকে সমুদ্র, বন থেকে নদী। নতুন এক ইন্টেরিয়ম গভর্মেন্ট আসার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ভাবলাম এই দেশে আর যাই থাক বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু আজ বৈষম্যর এত ডানা গজিয়েছে যে দেশটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য নতুন এক ছক আঁকা হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা একদিকে অন্যদিকে এ সময় একটা ঘটনা যেটার আসামি গ্রেফতার হয়েছে সেই আসামি গ্রেফতারের তিনদিন পর কেন পাহাড় অশান্ত? কারা আছেন এই অশান্তির পিছনে?
সবারই প্রশ্ন আসে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এবং ভিন্ন দেশের একটা গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পিছনে ৩৬ শে জুলাই এর পর থেকে সদা তৎপর। এছাড়া আমাদের পাহাড়ে কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে সর্বদা অস্থির করে রাখে যাতে দেশটা স্থীর থাকতে না পারে।
এর মাঝে সার্বজনীন দুর্গা উৎসব, যদি বড় একটা ঘটনা ঘটানো যায় তাহলে তো পতিত ফ্যাসিস্ট্রের পোয়াবারো।সবকিছু দেখে শুনে জনগণকে মাথায় রাখতে হবে যে দেশটা আমাদের, এই দেশটাকে কোনোভাবেই অস্থিতিশীল করতে দেয়া যাবে না।
যে যার জায়গা থেকে নিজেকে প্রস্তুত রাখা উচিত যাতে স্বৈরাচারের উত্থান না ঘটে। সরকারের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে।

