Site icon Daily R News

জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে চায় ভারত

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের জাহাজ ভাঙা শিল্পে আধিপত্য বিস্তারের দৌড়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। এ খাতে বাজার অংশীদারিত্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশটি প্রায় ৪০ বিলিয়ন রুপি (৪ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের) প্রণোদনা ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক জাহাজ ভাঙা শিল্পের ৪৬ শতাংশ দখলে রেখেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ভারত দখল করেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। পাকিস্তানও বাজারে টিকে আছে প্রতিযোগী হিসেবে।

শিল্পের এই বাজার ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় সরকার ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রম চালু করবে।

প্রস্তাবিত প্যাকেজে বলা হয়েছে- পুরোনো জাহাজ ভারতে ভাঙতে আনলে মালিকরা স্ক্র্যাপ মূল্যের প্রায় ৪০ শতাংশ সমপরিমাণ ক্রেডিট নোট পাবেন, এই ক্রেডিট নোট ৩ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে এবং দেশীয় জাহাজ ক্রয়ে ব্যবহার করা যাবে, মালিকরা চাইলে একাধিক নোট একত্রে ব্যবহার করতে পারবেন বা বিক্রি করতে পারবেন।

সূত্র জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিতে পারে।

ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত আলাং শিপইয়ার্ড বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ ভাঙার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখান থেকেই ভারতের প্রায় ৯৮ শতাংশ জাহাজ ভাঙা হয়। তবে সস্তা শ্রমশক্তি ও সহজ অবকাঠামোর কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভারতের বড় অংশীদারিত্ব দখল করে নিয়েছে।

এ কারণে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা সরাতে ভারত এখন পূর্ব উপকূলে নতুন শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনাও করছে।

শুধু প্রণোদনাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার চলতি মাসেই ২৫০ বিলিয়ন রুপি সমপরিমাণ সামুদ্রিক উন্নয়ন তহবিল অনুমোদন করতে যাচ্ছে। দেশীয় জাহাজ নির্মাণকে উৎসাহিত করা এবং বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরতা কমানোই এর উদ্দেশ্য।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তেলের ট্যাঙ্কার ভাঙা কমে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে খাতটি মন্দায় ছিল। তবে সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক সংকটে জাহাজ পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো জাহাজের ব্যবহারও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিল্পটিকে আবারও চাঙা করতে চাইছে।া
বিশ্বের জাহাজ ভাঙা শিল্পে আধিপত্য বিস্তারের দৌড়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। এ খাতে বাজার অংশীদারিত্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশটি প্রায় ৪০ বিলিয়ন রুপি (৪ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের) প্রণোদনা ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক জাহাজ ভাঙা শিল্পের ৪৬ শতাংশ দখলে রেখেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ভারত দখল করেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। পাকিস্তানও বাজারে টিকে আছে প্রতিযোগী হিসেবে।

শিল্পের এই বাজার ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় সরকার ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রম চালু করবে।

প্রস্তাবিত প্যাকেজে বলা হয়েছে- পুরোনো জাহাজ ভারতে ভাঙতে আনলে মালিকরা স্ক্র্যাপ মূল্যের প্রায় ৪০ শতাংশ সমপরিমাণ ক্রেডিট নোট পাবেন, এই ক্রেডিট নোট ৩ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে এবং দেশীয় জাহাজ ক্রয়ে ব্যবহার করা যাবে, মালিকরা চাইলে একাধিক নোট একত্রে ব্যবহার করতে পারবেন বা বিক্রি করতে পারবেন।

সূত্র জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিতে পারে।

ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত আলাং শিপইয়ার্ড বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ ভাঙার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখান থেকেই ভারতের প্রায় ৯৮ শতাংশ জাহাজ ভাঙা হয়। তবে সস্তা শ্রমশক্তি ও সহজ অবকাঠামোর কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভারতের বড় অংশীদারিত্ব দখল করে নিয়েছে।

এ কারণে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা সরাতে ভারত এখন পূর্ব উপকূলে নতুন শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনাও করছে।

শুধু প্রণোদনাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার চলতি মাসেই ২৫০ বিলিয়ন রুপি সমপরিমাণ সামুদ্রিক উন্নয়ন তহবিল অনুমোদন করতে যাচ্ছে। দেশীয় জাহাজ নির্মাণকে উৎসাহিত করা এবং বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরতা কমানোই এর উদ্দেশ্য।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তেলের ট্যাঙ্কার ভাঙা কমে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে খাতটি মন্দায় ছিল। তবে সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক সংকটে জাহাজ পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো জাহাজের ব্যবহারও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিল্পটিকে আবারও চাঙা করতে চাইছে।

Exit mobile version