Site icon Daily R News

পাথর লুট নিয়ে দুদকের প্রতিবেদন: জামায়াত বলছে ‘ভিত্তিহীন’, এনসিপি বলছে ‘উদ্দেশ্যমূলক’

সিলেটের সাদাপাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দল দুটি বৃহস্পতিবার আলাদা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছে, দুদকের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই তাদের নাম জড়ানো হয়েছে।

এর আগে ১৩ আগস্ট দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ঢাকায় ফিরে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর লুটপাটে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ৪২ জন রাজনীতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। তাদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও এনসিপির নেতাদের নাম রয়েছে।

দুদকের তালিকায় থাকা জামায়াতের মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন নাম প্রকাশ হওয়ায় দুপুরে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াত। তারা অভিযোগ করে, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের নাম জড়ানো হয়েছে। ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। বৈধভাবে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়াকে অপপ্রচার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মহানগরের নায়েবে আমির নূরুল ইসলাম বাবুল, জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনসহ অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে দুদকের প্রতিবেদনে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর নাম আসার পর বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপি। দলটির নেতারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে।

এনসিপি নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের কোনো নেতা-কর্মী সাদাপাথর লুটে জড়িত নন। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।” তিনি সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এ সময় এনসিপির অন্যান্য নেতারা বলেন, কিছু গণমাধ্যমে তাদের দুজন শীর্ষ নেতার নাম প্রচার করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবারও একই অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

Exit mobile version