Site icon Daily R News

ট্রাম্প-পুতিন-জেলেনস্কির বৈঠক: থামবে কি ইউক্রেন যুদ্ধ?

ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান খুঁজতে সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা। এর আগে গত শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলেন ট্রাম্প। সোমবারের বৈঠক সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে, যেখানে কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার আশ্বাস দেন তিনি।

বৈঠকের একপর্যায়ে ট্রাম্প জানান, তিনি পুতিন ও জেলেনস্কির সরাসরি বৈঠকের উদ্যোগ নিচ্ছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও নিশ্চিত করেন, পুতিন এ আলোচনায় রাজি আছেন। তবে কখন এবং কোথায় এ বৈঠক হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠক হতে পারে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁর মতে, সুইজারল্যান্ড সম্ভাব্য স্থান।

তবে আলোচনার আগেই ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন—ক্রিমিয়া আর ইউক্রেনের হাতে ফিরবে না এবং ন্যাটোতে যোগদানের আশা ছাড়তে হবে জেলেনস্কিকে। তারপরও বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ইউক্রেন যেকোনো ফরম্যাটে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর মের্ৎস, ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডের লায়েন ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। তারা ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি জোর দিয়ে তুলে ধরেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এ বৈঠক থেকে পাঁচটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছে:
১. পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২. যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় আগ্রহ দেখিয়েছে।
৩. যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে ট্রাম্প ও ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
৪. জেলেনস্কি এবার কূটনৈতিকভাবে আরও প্রস্তুত ছিলেন, যা ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে।
৫. বৈঠকের পুরো সময়জুড়ে পুতিনের উপস্থিতি পরোক্ষভাবে অনুভূত হয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে যদি সত্যিই পুতিন ও জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, তবে প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করার পথে এটি হতে পারে এক বড় পদক্ষেপ। কিন্তু মস্কো ও কিয়েভ নিজেদের অবস্থান থেকে ছাড় না দিলে সমঝোতা কঠিন হবে।

Exit mobile version